অনলাইন ডেস্কঃ

গত ১৫ই জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার বিকালে শাহবাগ থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বাদি হয়ে মামলার আবেদন করেন। ৩৯১ জনের নামে এবং ৮০০ থেকে এক হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলার আবেদন করা হয়েছে।

মামলার আবেদন শেষে শাহবাগ থানার ভেতরে সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক আবদুল কাদের, মাহিন সরকার, আবদুল হান্নান মাসুদসহ আরও অনেকে। এই বিষয়ে মাহিন সরকার বলেন, গত ১৫ই জুলাই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক একটি দিন। এদিন আমাদের বোনদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয়, তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়। আমরা মনে করি, এটির বিচার হওয়া উচিৎ। সেজন্য আমরা হামলাকারী ও হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে ওবায়দুল কাদেরকে, যিনি সরাসরি হামলায় উসকানি দিয়েছেন। তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল ইসলাম নওফেলকে এবং চার নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে।

আসামির সংখ্যা জানিয়ে মাহিন বলেন, আমরা মোট ৩৯১ জনের নামে মামলা করেছি এবং ৮০০ থেকে এক হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করেছি। অজ্ঞাতনামাদের মধ্যে রয়েছে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

মামলার বিষয়ে রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রায় ৪০০ নাম উল্লেখ করে মামলা দিয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামিও রয়েছে। আমরা এজাহার গ্রহণ করেছি। এটি আপাতত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।